বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

পাইপ ফেটে অগ্নিকাণ্ড: এক সপ্তাহ ধরে রূপগঞ্জে গ্যাসের তীব্র সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সপ্তাহ ধরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলার কয়েকশ শিল্প-কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার আবাসিক গ্রাহকদেরও। শিল্পাঞ্চলের আবাসিক এলাকাগুলোর ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় এলাকাবাসী ভিড় করছেন হোটেল-রেস্টুরেন্টে। কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে মাটির তৈরি চুলা ও গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৭ জুন আদমজী ইপিজেডে একটি ভবন নির্মাণ কাজের পাইলিং করার সময় গ্যাস পাইপ ফেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে তিতাসের গ্যাস সঞ্চালন লাইন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাইনটি ধীরগতিতে মেরামত করায় গ্যাস সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, রূপগঞ্জে প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক ছোটবড় শিল্প-কারখানা ও তিতাস গ্যাসের প্রায় ৭ হাজার বৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব কারখানার অধিকাংশ গ্যাসের নানাবিধ ব্যাবহারের মাধ্যমে উৎপাদন অব্যাহত রাখে। এক সপ্তাহ ধরে তীব্র গ্যাস সংকটে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।

গ্যাস না থাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় কয়েকশ শিল্প কারখানার উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অনেক কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। এতে কারখানাগুলোকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

অন্যদিকে রান্নাজনিত সমস্যা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার। অধিকাংশ এলাকায় গ্যাসের চুলায় কখনো নিভু নিভু আগুন জ্বলছে আবার কখনো জ্বলছে না। এতে গৃহিণীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

রূপসী এলাকার গৃহিণী রোকেয়া বেগম বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় বাধ্য হয়ে মাটির চুলায় লতাপাতা ও লাকড়ি এনে রান্না করছি। এক সপ্তাহ ধরে রান্নাজনিত সমস্যায় আছি। গ্যাস মাঝেমধ্যে একটু আধটু এলেও একটু পরেই আবার চলে যায়। কবে যে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো জানি না। গ্যাস সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

উপজেলার এসিএস টেক্সটাইল মিলের জেনারেল ম্যানেজার ইশতিয়াক  বলেন, আমাদের কারখানায় গার্মেন্টস সেকশন চললেও ডাইং, উইভিং, সেকশন গ্যাস সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। এখানে প্রায় আড়াই তিন হাজার শ্রমিক কাজ করে। গ্যাস সংকটে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে। উৎপাদন না করে শ্রমিকদের বেতন দিবো কীভাবে। শুনেছি কোথায় যেন গ্যাস লিকেজের কাজ চলছে। তিতাস কর্তৃপক্ষকে গ্যাস লিকেজ মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত গ্যাস সংকট না কাটলে আমরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজবাহ-উর রহমান  বলেন, ১৭ জুন আদমজী ইপিজেডের পলমল ফ্যাশনের পাইলিং করার সময় গ্যাস পাইপ ফেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪০ ফিট নিচে ২৪০ টন ওজনের পাইলিং রিং ডেবে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনের মেরামত কাজ চলছে। তবে সময় বেশি লাগছে। আশা করি আজ-কালের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com